কোনো এক জ্যোৎস্নায় 

আমি ভূত দেখেছি



অযুত নিযুত আলো সাদাসিদে সমতলে 

ধরাযাক, কোনো এক জ্যোৎস্না 

অশরীরী আলো ফেলেছিল নদী জলে। 


সে রোশনাই ছিল নোঙ্গরের উষ্ণ হাতলে। 


মাছেদের প্রজনন হবার মতো শৌখিন আলো ছিল 

সেদিন আমাদের নদী জলে। 


এইসব রাতে নাকি ঘুমোয় না কালপেঁচারা। 

নদীর বুকে তখন ছায়ার চাদর মেলে দেয় 

অপরূপ থোকা থোকা উত্তরী মেঘ। 


গ্রাম, গৃহকোণ, জারুলের শাখা জেগে থেকে দেখে 

মানুষের ঘুম-নদী-সমতল 

সব ছেড়ে গেছে এই স্রোত কোন দূরে আরও কতকাল। 


অশ্রান্ত নদীর বৃক্ষহীন বাঁকে 

থেকে থেকে ডাকে 

কালপেঁচা। থেকে থেকে ডাকে। 


তখন আমার আঁজলা ভরে তুলে নেওয়া জলে 

কমলা আলোর দল 

এসে বলে- ওই দূরে তুমি, আমি আর কোন ছায়াপথ? 


তখন আমাদের জারুলের পল্লবে নাচে ভূত 

নাচে ছোট ছোট নর্তকের দল।







বই: নৈঃশব্দ্যে নৈবেদ্যে এসো (২০২১)

নুশান জান্নাত চৌধুরী