এসো না, হৃদয়টা অনুবাদ করে দাও


এবারের শীতে, করার মতো কিছু কাজ আছে।

শীতে যেমন ধূসরতা, তারো বেশি বিপন্ন নীল।

সেই আপাত খেলাঘরে

ছড়িয়ে দেয়া যায় একাধিক শ্বেতপদ্মের মাধুরী।

 

এবারের শীতে আকাশমুখী যে কালো মহীরুহ

তাতে অভিলাষী রং মাখব সুন্দর,

পৌঁছে দেব কড়া সবুজ

অষ্টম রাশির জাতকের মতো।

এবারের শীতে যতদিন পারা যায়

যাবতীয় সুখের স্মৃতি নির্মাণ করেও

যখন দুঃখ না থাকার দুঃখে পুড়বে মন,

সবকিছু ঝরে পড়বে বিভূষণ

তখনও হয়তো আমরা বেঁচে বর্তেই থাকব।

মধুর সম্মোহন তাতে।

কিন্তু সে সম্মোহন আমাকে নেশাগ্রস্ত করে না।

ভীষণ কুয়াশা ঢাকা পথে

চলে যেতে ইচ্ছে হয় বৃক্ষ-বন,

রূপবতী নদীর কাছে।

হঠাৎ করেই সময়টা থেমে গেছে

আর মাধুকরী বিকেল আচ্ছন্ন হয়ে আছে

বেনারসি নীল আলোয়!

এখন আমার প্রিয় পোশাকে

প্রায়ই ন্যাপথলিনের গন্ধ পাওয়া যায়।

বহুদিন সন্ধ্যার আকাশ দেখা হয় না,

কফি খাওয়া হয় না।

চিলেকোঠার চাবিটাও হারিয়ে গেছে।

সিদুঁর কৌটায় তুলে রাখা জলপিপি

আজকাল কেন যে ডানা ঝাপটায়।

কিচ্ছু ভালো লাগেনা।

এসো না, হৃদয়টা অনুবাদ করে দাও,

অথবা চলো এবারের শীতে

চলে যাই চিম্বুক পাহাড়ে

মায়াবী মধ্যাহ্নকে অনুবাদ করব সেখানে।

প্রথম প্রকাশ লিংক:  https://www.sachalayatan.com/guestwriter/37322 

২৪ জানুয়ারি ২০১১

বই: নৈঃশব্দ্যে নৈবেদ্যে এসো (২০২১)

নুশান জান্নাত চৌধুরী