তুমি আলাদা নও


এখন যে শিশুটি যমুনার জল পান করছে,

সে তোমার সহোদর, যে কৃষক পাহাড়ের ঢালে, সবুজ জমিনে

মরিচের লাল লাল ছোপে অজ্ঞাতে এঁকে চলে বাংলার পতাকা,

সেও তোমার সহোদর; যে দাগিহাঁস

সাইবেরিয়ার বরফগলা জল থেকে ডানা ভিজিয়ে

এইমাত্র উড়ে গেল,

উড়ে গেল- কাশ্মীরের ফুলে ভরা উপত্যকার উদ্দেশ্যে,

উড়ে গেল- বিস্তৃত সোনালি ধানখেতের ওপর দিয়ে,

যার চোখে এখনো মেঘের নীল আর সূর্যের সোনালি রং-

সেও তোমার সহোদর;

তুমি আলাদা নও, তুমি একা নও। তোমার সমস্ত শ্বাসে

যে অসংখ্য ট্রিলিয়ন জলীয় অণু প্রবেশ করছে,

এবং আগামীতেও করবে, সম্ভাবনা আছে- সেই অণু একদিন

কোনও প্রাণীর ঘামে মিশে ছিল,

বা কোনও গাছের কাণ্ডে প্রবাহিত হয়েছিল...

বা দূর আন্দিজের গা ছুঁয়ে উড়ে এসে

তোমার ভাইয়ের অশ্রু হয়েছিল

পৃথিবী নিজেই এক অনাদি জননী...এইসবকিছু প্রত্যক্ষ করে

তোমাকে জানায় না কিছুই...