সুখের বিরক্তি...
ধরো, আমার সাথে তোমার আজই শেষ দেখা?
- তাহলে জোছনার জল ভেঙ্গে বৃষ্টি নামবে না পৃথিবীর কোনো বরষায়, মাটির শরীরে থাকবেনা আবাদের মাঠ অথবা বিপণী বিতানে কোনো চোখ জুড়ানো পণ্য।
যদি ফিরিয়ে দিতে বলি ভবঘুরে বিকেল?
- বইবে না যুগল নদী মণি-মালা। বাঁশি বাজবে না চন্দ্রস্নাত এই শহরে।
মনে করো, এখানেই থেমে গেল আমাদের হেঁটে চলা?
- কবিতার স্বচ্ছ ডানা আমি ভেঙ্গে দেবো খানখান, তাতে বিরক্ত হবেন স্বয়ং ঈশ্বর।
যদি বেঁধে ফেলি কথার পেখম?
- দোকানীরা তাদের সংগ্রহে রাখবে না লাল টিপ, বেলজিয়ামের আয়নায় সাজবে না পৃথিবীর কোনো প্রেমিকা।
যদি তোমাকে না দেই আর একটিও চুম্বন?
- আমি আকাশের ডালপালা ছেঁটে দেবো, রংধনুকে ঝুলিয়ে রাখব গৃহস্থের ঘরে বেনী বাঁধা সুতোর মতো। নাগরিক নরকে ফুটবে না বকুল পলাশ। পথে জ্বলবে না এক বিন্দু আলো। ভূতুড়ে নগরে হব ঈশ্বরের প্রতিবেশী।
যদি জিজ্ঞেস করি সাগর না পাহাড়?
- আমি বলব দুটোই। কখনও তোমায় পেতে দেবো সূর্য বিছানা, কখনও তোমার চুলের তুলিতে আঁকব শুভ্র মেডলা।
প্রথম প্রকাশ লিংক: https://www.sachalayatan.com/guest_writer/38332
৪ এপ্রিল ২০১১
বই: নৈঃশব্দ্যে নৈবেদ্যে এসো (২০২১)
নুশান জান্নাত চৌধুরী