জেগে আছো কি?
দেখ স্বচ্ছ চাঁদ আজ করছে তড়িঘড়ি। বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব।
চাঁদ, পাখি, বৃষ্টির জল,
চোখ মেলা শস্যক্ষেত্রে সারসের ডিম,
সাজানো গেরস্থালি এইসব কিছু
দূর দেশে চলে গেছে ঝিঁঝিঁপোকার সাথে।
সেখানে আমাদের অজস্র গল্প মগজে ঠেঁসে
বুনোফুলও কি জেগে আছে?
এই চাঁদ যদি ভেসে যায় বৃষ্টির জলে
চকচকে রোদ ওঠে যদি একদা সকালে
যদি আসে বাঁশিওয়ালা অরণ্যপ্রাতে,
সেবেলা আমি ওঁত পেতে রবো,
ছুটি নেব। চলে যাব আবাদের মাঠে-
যেখানে দাঁড়িয়ে দেখেছিলাম ভ্রূণ ছায়াপথ।
এই অট্টালিকার বিশাল জানালা গলে
আমি চলে যাব; দিনমান খুঁজব ফুল, গাছ,
রাজহাঁস, দারুচিনি রং ওদের।
একসময় খুঁজে পাব। নাও পেতে পারি।
না পেলে ধোঁয়াটে রাতে ফুলকি ছড়াব,
ছড়াব কিছু কণা জোনাকির মতো।
চাইলে এসো। তোমাকে সাথে নিয়ে ও পাড়ার উঠোনে
বুনে আসব বসন্তের প্রথম প্রহর।
বাহারি ফুলকি ছড়িয়ে ক্লান্তি এলে
হাতের প্রদীপে একসাথে শুয়ে বংশবৃদ্ধির ছলে
দূর থেকে দূরে ভ্রূণ ছায়াপথ দৃষ্টির পথে খেলে।
কে জেগে তাকে দেখে?
কে ফিরে এসে ভালোবেসে আর দুটি কথা বলে
বই: নৈঃশব্দ্যে নৈবেদ্যে এসো (২০২১)
নুশান জান্নাত চৌধুরী