রাইনের তরল স্ফটিক 


জার্মানী, অস্ট্রিয়া আর সুইটজারল্যান্ড তিন দেশকে উপকূল দিয়েছে লেক কনস্ট্যান্স; পশ্চিম ইউরোপের দীর্ঘ নদী রাইনের তরল স্ফটিক। মাসুদ রানা থেকেই লেক কনস্ট্যান্স নামের সাথে আমার প্রথম পরিচিতি। মাসুদ রানা থেকেতো কত জায়গার গন্ধই পেয়েছি। কিন্তু এই হ্রদের জন্য কি এক অদমনীয় টানে অজান্তেই বশীভূত হয়ে আছি অনেককাল। ইচ্ছে ছিল জীবনে কখনো ইউরোপে যাওয়ার সুযোগ হলে যাবই যাব। এসেছি তাও বেশ ক বছর হয়। এবারের গ্রীষ্মে সুযোগ মিলল। 


আল্পসের উত্তর পাদদেশে বিস্তৃত লেক কনস্ট্যান্সের তীরে সুইটজারল্যান্ডের সীমানায় জার্মানির দক্ষিণের নগরী কনস্ট্যাঞ্জ। কনস্ট্যাঞ্জের সূর্যাস্ত নাকি টকটকে লাল হয়। লেক কনস্ট্যান্স কে মাথায় রেখে এবারে আমরা জুরিখে খুঁটি গেড়েছি। তবে এ যাত্রায় কনস্ট্যান্স কে দেবার জন্য জীবন আমাকে বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র একদিন। জুরিখ থেকে ট্রেনে শহর কনস্ট্যাঞ্জ সোয়া এক ঘন্টা। পৌঁছে, কিছুটা পানীয় জলের খোঁজে আমরা স্টেশন থেকে বেরিয়ে হাতের বাঁয়ে একটু এগিয়ে আগে ঢুকলাম একটা শপিং মলে। সবাই একটু ক্ষুধার্ত, তাই তড়িঘড়ি করে দুপুরের খাবার সেরে নিয়ে বেরিয়ে এলাম।  


শেষ তুষার যুগের রাইন হিমবাহ থেকে লেক কনস্ট্যান্সের জন্ম। দুইশ সত্তর কিলোমিটার উপকূলের লেক কনস্ট্যান্স মধ্য ইউরোপের প্রাকৃতিক বাস্তু-সংস্থানে অন্যতম এক নাম। ওবারসী (আপার লেক) বা ঊর্ধ্ব হ্রদ, এবং আন্টারসী (লোয়ার লেক) বা নিম্ন হ্রদ; এই দুভাগে বিভক্ত এ হ্রদের দুপাশের বিস্তীর্ন ভুখন্ড জুড়ে আপেলের ক্ষেত, আবাদের মাঠ আর চারণভূমি। হ্রদ তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকা, বিশেষ করে নদী-মুখের কাছের জায়গাগুলো সংরক্ষিত; উদ্দেশ্য~ প্রকৃতি সংরক্ষণের সার্থে সেসব এলাকা মানব মালিন্যমুক্ত রাখা। জার্মান উপকূলের সবচেয়ে বড় আর হ্রদতীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা উলমাটিঞ্জার রিড আন্টারসী ন্যাডেনসী (Wollmatinger Ried Untersee-Gnadensee), এখানেই রাইন নদী ঊর্ধ্ব হ্রদ থেকে নিম্ন হ্রদে গিয়ে পড়েছে। ফুলের গাছ এবং ফার্ন সহ ৬০০ টিরও বেশি প্রজাতির গাছপালা আর প্রাণীর আবাস এই উলমাটিঞ্জার রিড আন্টারসী ন্যাডেনসী তে। আর এ জলাভূমিকে অভয়ারণ্য ভেবে আকৃষ্ট হয়ে উড়ে আসে ২৯০ এরও বেশী প্রজাতির বিচিত্র চমৎকার সব পাখীরা। লেক কনস্ট্যান্সের আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রকৃতি সংরক্ষন এলাকা হলো ইরিস্কির্হার রিড (Eriskircher Ried)। জায়গাটা নানা প্রজাতির পাখি এবং পানকৌড়ি সহ বহু জলচর পাখির আশ্রয়স্থল। জলের শান্ত শরীর আর পাখি জীবন একসাথে ভালবাসে যে মানুষ তার জন্য সে এক নিখুঁত সবুজ মায়াময় স্থান। আছে চমৎকার হাইকিং এবং সাইকেল চালানোর পথ। তাই প্রকৃতিপ্রেমী হাইকার এবং সাইক্লিস্টস কাছে ইরিস্কির্হার রিড ট্রেইল অতি পছন্দের। এবার হবেনা। এক যাত্রায় সবার সব হয়না। 


যাইহোক, শপিং মল থেকে বেরিয়েই বুঝতে পারলাম খানিক পর পর গ্রীষ্মের তাপেও মুখে এসে লাগছে হ্রদের বুক থেকে উঠে আসা মৃদু বাতাস। ম্যাপ দেখবনা, বাতাস খুঁজতে খুঁজতে হাঁটব বলে ভিড়ের মাঝে গা ভাসিয়ে দিতে চাই। দিবা পর্যটকদের কেউ এসেছে হাইকিং আর পর্বত বাইকিং করতে, কেউবা শুধুই সাঁতার কাটবে। টুরিস্টে গম গম করছে পুরো শহর। যেন এক মিছিল মানুষ ব্যতিব্যস্ত হয়ে এগোচ্ছে অদূরের কোনো মায়াবী নীল হ্রদের খোঁজে। ভিড়ের সাথে আমরাও হাঁটছি। খানিক বাদে দেখতে পেলাম, ওইতো, একটু একটু করে উদ্ভাসিত হচ্ছে সামনের বিস্তৃত নীল জলরাশি। জার্মান রা লেক কনস্ট্যান্স কে বলে ‘বোদেনসী’।  


কূলে দাঁড়িয়ে থাকা ‘ইম্পেরিয়া’র ঘূর্ণমান পাথরের ভাস্কর্যটা চোখে পড়ল ধীরে ধীরে। তবে একদম প্রথমটায় ইম্পেরিয়াকে দিগন্ত রেখার পাশে খুব বেশী আলাদা করতে পারিনি। কাছাকাছি আসতেই দেখতে পেলাম। নিজের শিল্পকর্মে নগ্নতার বিতর্কিত অনুষঙ্গ তুলে ধরার জন্য পরিচিত এই যুগের জার্মান ভাস্কর পিটার  লেঙ্ক ‘ইম্পেরিয়া’র পোশাক পরিধানে মধ্যযুগীয় আবহ অটুট রাখতে পেরেছেন। আবেদনময়ী পোশাকে সজ্জিত এক নারী দুই হাতে ধরে রেখেছে মুকুটধারী নগ্ন দুই পুরুষ; একজন পোপ মার্টিন পঞ্চম এবং অন্যজন সম্রাট সিগিসমন্ড। ইম্পেরিয়ার বিশালাকৃতির কাছে এদের দুজনকেই মনে হচ্ছে নিতান্ত শিশু। সত্যিকারের প্রাচীণ ইম্পেরিয়া জীবদ্দশায় কখনো কনস্ট্যাঞ্জ এ আসেনি। তাই বর্তমান সময়ে, দুটি প্রভাবশালী চরিত্রের অনাবৃত অবয়ব হাতে তার কিংবদন্তীর ভাস্কর্য এসে যখন ঠাই পেল হ্রদের কূলে তখন সেটা  বিপুল বিতর্কের মুখে পড়লেও এখন ভ্রমণকারীদের অন্যতম আকর্ষনই বলা যায়। ফরাসি ঔপন্যাসিক ব্যলযাক এর ক্যাথলিক পাদরীদের নৈতিকতা, ধর্ম ও রাজতন্ত্র নিয়ে আমলাতন্ত্র বিরোধী বিদ্রূপাত্মক ছোট গল্প ‘লা বেল ইম্পেরিয়া’ (সুন্দরী ইম্পেরিয়া) থেকে পিটার লেঙ্ক এই ভাষ্কর্যের ধারনা নেন। ব্যলযাক এর গল্প মতে সুন্দরী ইম্পেরিয়া, কাউন্সিল অফ কনস্ট্যান্স (১৪১৪ থেকে ১৪১৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত) এর সময়ে নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তি ও রাজা-রাজরা দের মোহাবিষ্ট করে, ছলা কলা করে, নাকে রশি বেঁধে ঘোরানো, প্রভাবশালী এক নারী। তবে ব্যলযাকের গল্পের খোরাক বহু প্রেমিক ও ধনাঢ্য পুরুষ পরিবেষ্টিত আসল ইম্পেরিয়া, যে জন্মেছিল সেই কাউন্সিলেরও অনেক বছর পর, সে ইতিহাসে আসলেই তার সময়ে রোমের সেরা চিত্তাকর্ষিকা, সুশিক্ষিত, বুদ্ধিমতী; ও পুরুষের ওপর প্রভাববিস্তারকারী এক নারী হিসেবে উল্লেখিত। তখন বলা হত রোম নাকি দুই দুইবার পুরাণ দেবতাদের আশীর্বাদে পুষ্ট। একবার কৃষি উর্বরতা ও যুদ্ধের দেবতা মার্স দিয়েছে মহান রোমান সাম্রাজ্য, আর আরেকবার প্রেম ও সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস রোম কে দিয়েছে ইম্পেরিয়া। দৈহিক, জাগতিক ও প্রেমময় জীবনের প্রণয়িনী ইম্পেরিয়া, পঁচিশ (মতান্তরে তিরিশ) বছর বয়সে আত্মহনন করে। তার মৃত্যু নিয়ে রয়েছে নানা কিংবদন্তি, সবই প্রেমমূলক।


যাইহোক, এখন বসে থাকব এখানে, ঠিক এইখানে এই হ্রদের পাড়ে। একটা সুন্দর ঘটনা ঘটেছে! এখানে অসংখ্য সিক্যমোর গাছ! একটা নির্দিষ্ট গাছের প্রতি যে অকারন টান আমি অনুভব করি, সেটা এই গাছ। অনেক বড় বেলায় প্রথম দেখি। যেন অনেককাল ধরে মনের কোনো একটা জায়গা খালি পড়েছিল সিক্যমোরের জন্য। কেন এই বিশেষ গাছের প্রতি আমি পক্ষপাত দুষ্ট সেটা আন্দাজ করতে পারি; পাওলো কোয়েলো’র ‘দ্য অ্যালকেমিস্ট’। কোনো বিখ্যাত ব্যক্তির একটা উক্তি দেখেছিলাম, নিজের নামই নাকি মানুষের সবচেয়ে পছন্দের শব্দ। কিন্তু নিজের নাম ছাড়াও আমি সিক্যমোর শব্দটাও ভালোবাসি খুব। মনে পড়ে, মেয়ের নাম ‘সিক্যমোর’ রাখতে চেয়েছিলাম। অতি বাস্তব জগতে বাস করা আমার সঙ্গী বলেছিল, “ধুর সিক্যমোর টিক্যমোর রাখার কি দরকার, তারচেয়ে বরং ‘ডুমুর’ রাখো।“মনে হচ্ছে দীর্ঘকাল দুই চোখ দিয়ে দেখি বিস্তৃত জলের খেলা, দূরের তুষারাবৃত পর্বতমালা, আর এই সযত্নে ছাঁটা সিক্যমোরের শোভাময় উপবন। যদি সময় বলতে কিছু হাত ঘড়িতে বসে না থাকত!  


জলের কাছ ঘেঁষে জায়গা খুঁজে বসে আছে অনেকেই। গাছ-পাতা-ঘাসে  প্রজাপতিরা উড়ে বেড়াচ্ছে।  হয়ত পাখিরাও  ডাকছে। তবে আমি দুকান পেতে কেবল শুনি শব্দ, জলের। বাতাসের সাথে জলের মাতামাতি, নাকি জলের সাথে বাতাসের! মৃদু হাওয়ায় ঝকঝকে দিন, মাঝে মাঝে মেঘের স্নিগ্ধ ছায়াও পড়ছে লেকের বুকে, কি অপূর্ব সুন্দর! এক জোড়া ছেলে-মেয়ে হাত ধরা ধরি করে এসে বসল আমাদের ঠিক সামনের একটা বেঞ্চিতে, একটা সিক্যমোরের নিচে। জীবনের আপাত প্রয়োজনীয় উপাদান, মোহ, ভ্রান্তির থেকে দূরে, শান্তিময়, এই একসাথে বসে থাকা। 

চিন্তারা জোঁকের মত আঁকড়ে ধরছেনা আমাদের। এখানে শুধুই অনুরক্তি, নিসর্গের সাথে মানুষের, জলের শব্দের সাথে নৈশব্দের। যে ইচ্ছে আমি সত্য করব ভেবেছিলাম, সেটা করে আমিও আনন্দ খুঁজে পাচ্ছি আকাশে বাতাসে। চাক্ষুষ চিন্তার জগতে ঘোরাফেরা করি। যে দৃশ্য ভাবি তা বাস্তবে ঘটিয়ে নিতে চাই। আর যখন পাই, তখন মনের ভেতরে হয় আমার আরেকটু বৃদ্ধি, সংযোগ, আলাপ। 


অনেক্ষণ পর মনে হলো, একটু এগোনো উচিৎ। পুরনো শহর (নিডারবুর্গ) খানিক্ষন ঘুরে দেখব। লেক কনস্ট্যান্সের উত্তর-পশ্চিমের এ নগরীতে আজকের জীবন কতনা সুন্দর। অথচ প্রাচীন ইমারতের মাঝে পাক খাওয়া পায়ে চলা অলি গলি ধরে হাঁটতে হাঁটতে টের পাচ্ছি, মধ্যযুগীয় এই নগরীতে ইতিহাস ছায়া হয়ে আমার পিছে পিছে ঘুরছে। শুনেছি সম্রাট কনস্টান্টাইনের রোমান সাম্রাজ্যের সীমানা রক্ষার সাথে এই নগরের কোনো একটা ইতিহাস আছে। তাছাড়া প্রচলিত ধারনার বাইরে শিক্ষা দেয়ার অভিযোগে, কাউন্সিল অফ কনস্ট্যান্স এর সময়, এমনই এক গ্রীষ্মে এখানে চেক সংস্কারক ইয়ান হোস কে অগ্ন্যুৎসব করে পুড়িয়ে মারে মানুষ। কনস্ট্যাঞ্জ এ নব্য প্রস্তর যুগ থেকে সভ্যতার অস্তিত্ব। এই ঐতিহাসিক আশীর্বাদই আজকের কনস্ট্যাঞ্জ নগরীর যাবতীয় নতুন স্থাপনার জন্য একটা অভিশাপ। বলা হয় প্রায় প্রতিটি নতুন নির্মাণ প্রকল্পের সময় এ নগরের মাটির নিচে এখনো কোনো না কোনো প্রাচীন সভ্যতার সামগ্রীর খোঁজ মেলে। সুইটজারল্যান্ডের সীমান্তে অবস্থিত হওয়ায় ভূগোল ও নিছক সৌভাগ্যের জোরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ও কনস্ট্যাঞ্জ বোমার আঘাত থেকেও বেঁচে যায়।  


লেক কনন্সট্যান্সের তীরের শহরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জীবন্ত এই শহর এর বহু পুরাতন দূর্গ, মধ্যযুগীয় স্থাপনা আর সুন্দর উদ্যান সবকিছুর মধ্যে কেমন সময়ের গন্ধ আগলে রেখেছে। সত্যি, সময়েরও গন্ধ থাকে! যাইহোক, এই নগর কনস্ট্যাঞ্জ  নিয়ে আমার খুব একটা দাপাদাপি নেই, আমার যত নজর তা ওই লেক কনস্ট্যান্সের উপর; সবুজাভ নীল দ্রাবিত অথচ স্বচ্ছ জলের ওই শুভ্রতার দিকে।  

পুরাতন শহর খানিক ঘুরে আবারো গিয়ে কুলে বসে থাকব, তারপর ফিরে যাব স্টেশনে, চুম্বক কিনব, জুরিখের ট্রেন ধরব। হাতে খুব বেশী সময় না থাকায় কিছু অপূর্নতা অবশ্য রয়েই যাবে; ফুলের দ্বীপ (মাইনাও আইল্যান্ড) এ যাওয়া হবেনা। লেক কনস্ট্যান্সের বুকে মাসুদ রানার মত জল কেটে স্পীড-বোট ভাসানো হবেনা। তবে ফুলের দ্বীপ বাদ পড়াটা সত্যি আফসোসের বিষয়। একশ দশ একর জায়গার ওপর ওই ফুলের দ্বীপ টুরিস্টদের কাছে অনেক জনপ্রিয়। ক্রান্তীয় গাছ-গাছালী আর ফুলে ভরা সেই দ্বীপ। সেখানে যাওয়া যে সময়ে কুলোবেনা আগেই আন্দাজ করেছি। ছানা সাথে থাকলে এটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকো; নিজেকে বললাম, আবার আসব! 


অন্তর্মূখী মানুষ হয়েও বাস্তুগৃহের বাহিরে মনবিকাশ খোঁজে যারা, আমি তাদের দলে। জীবনের গতিশীল বিচরণে যে শক্তিতে পৃথিবী এই অধমাত্মাকে জাদু করেছে তা গৃহের বাইরেরই। আমার ভ্রমনকাঙ্গালপনায় যত ক্ষুদ্রই অবকাশ হয়েছে দেখবার, জানবার, তাকেই আমি আমার উপলব্ধি বলি। সেখানে আমার বোধ আর অভিজ্ঞতার সুসম্বন্ধ। এইসব যাবতীয় অন্বেষণে নিজেকে খুঁজতে গিয়ে যে সংযোগের খোঁজ আমি পাই অজানা মানুষের সাথে, যে ভাষার গন্ধ বা গাছের ঘ্রান বা জলের সম্মোহনে শ্বাস নিতে আমার ভালো লাগে, তা এই প্রকৃতিরই; নিজস্ব ও জীবন্ত।  তাই ঠিকই টের পাই, প্রকৃতির মাঝে এলে মনের মজুত আশ্রয়ভূমিতে কেউ একজন বলে, “ভালবাসি... ভালবাসি...”~ হয়ত দুর্দান্ত ঈশ্বর, অথবা আমি! 


এবেলা ভাল থেকো,

ডুমুর বন

নৌকো বাঁধার ঘাট

ফটিক জল। 


প্রথম প্রকাশ: https://www.sachalayatan.com/guest_writer/57500 

০৩/০৭/২০১৯